ডেস্কটপ কম্পিউটার চালাতে বিদ্যুৎ লাগে । ধরে নিলাম আপনার কম্পিউটারের সমস্ত যন্ত্রাংশ পরস্পরের সঙ্গে সঠিক ভাবে যুক্ত রয়েছে । এখন কম্পিউটারে সি.পি.ইউ বা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বলে যে যন্ত্রাংশ আছে, তার সঙ্গে প্লাগসহ বিদ্যুতবাহী তার যুক্ত থাকে । প্রথমে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে এমন কোনও প্লাগ পয়েন্টে ঢুকিয়ে প্লাগ পয়েন্টের সুইচটিকে অন বা চালু করে দিতে হবে । এ বার লক্ষ করা যাবে যে, সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিটে পাওয়ার (power) নামে একটি সুইচ রয়েছে। সেটিকে টিপে দিলে সঙ্গে সঙ্গে কম্পিউটার চালু হয়ে যাবে । এখন প্রশ্ন হলো, আপনি কীভাবে বুঝবেন যে কম্পিউটার চালু হয়ে গেছে । সেটি বুঝতে হলে কম্পিউটারে মনিটরের পর্দার মাধ্যমে তা বুঝতে পারবেন । মনিটরেও পাওয়ার (Power) নামে একটি সুইচ থাকে, সেটি আগে থেকে অন করা থাকতে পারে, না থাকলে সেটিকেও অন করে নিতে হবে । তখন কম্পিউটার একটি সূচনা প্রক্রিয়া বা (Starting Process) এর মধ্য দিয়ে অন বা চালু হবে, যার প্রতিফলন আপনি মনিটরের পর্দায় দেখতে পাবেন । এই প্রক্রিয়ায় কম্পিউটার নিজেই তার সিস্টেম বা ব্যবস্থার সেটআপ বা কাঠামোকে পরীক্ষা করে নিবে এবং এই সময় মনিটরের পর্দায় কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সম্পর্কে কিছু তথ্য দ্রুত ফুটে ওঠে ও মিলিয়ে যায়, একেই বলে বুটিং । এখনকার সব কম্পিউটারেই উইন্ডোজ নামক অপারেটিং সিস্টেম যুক্ত থাকে । আপনার কম্পিউটারে উইন্ডোজ-7, 8, 10 বা Xp হতে পারে । প্রতিটি উইন্ডোজ নামক অপারেটিং সিস্টেমের একেকটি ভার্সন বা সংস্করণ বোঝায় । বুটিং শেষ হলে কম্পিউটারে উইন্ডোজ নামক অপারেটিং সিস্টেমের যে সংস্করণটি যুক্ত আছে, সেটির নাম, তার লোগো বা প্রতীক সহ মনিটরের পর্দায় ফুটে উঠবে । আর এই প্রতীকটি অনেকটা যেন ব্যবহারকারীকে স্বাগত জানাবে । তার পর দেখতে পাওয়া যাবে যে, মনিটরের পর্দার একেবারে নীচের বাদিকে স্টার্ট বলে একটি শব্দ এবং নীচের ডান দিকে সময় ফুটে উঠেছে, আর পর্দার বাকি অংশে বিভিন্ন আইকন বা অবয়ব চিহ্ন ফুটে উঠেছে, সেগুলো আলাদা-আলাদা নাম নিয়ে দেখা যাবে । এখন কম্পিউটার পুরোপুরি চালু এবং আপনি প্রয়োজন মতো তাকে ব্যবহার করতে পারেন ।
"ধন্যবাদ"
0 মন্তব্য(গুলি):
Post a Comment